আসল গোলাপের গুড়া ( ১০০ গ্রাম )
উপকারিতাঃ
গোলাপ তার সৌন্দর্য ও সুগন্ধ দিয়ে মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে বারবার। মনের কাছে এই ফুল যেন একরাশ আলোর কিরণ নিয়ে আসে, প্রাণের আহার যোগায়, যাবতীয় মনখারাপের ওষুধ হয়ে যেন কাজ করে এই আশ্চর্য ফুল। প্রাচীনকাল থেকে নানান প্রেমের গল্প, কবিতা এবং জীবনের সব ধরণের শৈল্পিক ও সৃষ্টিশীলতায় গোলাপ ফুল অবধারিত ভাবে তার জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু জানেন কি, গোলাপ ফুল আপনাকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কত রকমের উপকার দিতে পারে? শরীর, মন এবং ত্বকের ওপর এর একটা ইতিবাচক প্রভাব আছে এবং প্রাচীন কাল থেকে একে ব্যবহার করা হচ্ছে। গোলাপ ফুলের উপকারিতা-
টোনার হিসেবে : গোলাপের পাপড়ি টোনার হিসেবে বেশ উপকারি। গোলাপের পাপড়ি জল দিয়ে সেদ্ধ করে মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে এসে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে খানিকটা তুলোয় সেই মিশ্রণটি দিয়ে ভিজিয়ে পুরো মুখ ভাল ভাবে মুছে নিন। ত্বক থাকবে সুন্দর ও উজ্জ্বল।
ব্রণ দূর করার জন্য : যাদের অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা আছে তাঁরা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপের পাপড়ি ব্রণ দূর করতে সহায়ক। যাদের ব্রণের উপদ্রব হয় তারা ব্রণের উপরে গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। গোলাপের পাপড়ির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণকে ছোট করে দেয় এবং এর লালচে ভাব কমিয়ে আনে।
সানস্ক্রিন হিসেবে : গোলাপের পাপড়ি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে উপকারী। বাইরের কড়া রোদে বের হওয়ার আগে গোলাপের পাপড়ির রস, গ্লিসারিন ও শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে ত্বক রোদে পোড়ার থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবেন।
চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করে : গোলাপের পাপড়ি চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করে দেয়। গোলাপের পাপড়ি জল দিয়ে সেদ্ধ করে রেখে দিন। এরপর সেটা ঠান্ডা করে নিন। এরপর একটি তুলো গোলাপের জলে ভিজিয়ে বন্ধ করা চোখের ওপর দিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে : গোলাপের পাপড়িতে আছে প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত গোলাপের পাপড়ির রস অথবা গোলাপের পাপড়ির তেল ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
ত্বককে উজ্জ্বল করতে: ২ থেকে ৩ চামচ গোলাপ ফুলের পাপড়ি বাটা , ১চামচ লেবুর রস, ১চামচ চন্দন গুঁড়ো , এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানাতে হবে। প্রথমে গোলাপের কিছু পাপড়ি নিয়ে বেটে নিন।তারপর এতে বাকি উপকরণগুলো মেশান। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগান।গলায়ও লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা জলে। সপ্তাহে তিনদিন করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনবদ্য এই প্যাক। চন্দন ও গোলাপের পাপড়ি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তো সাহায্য করেই, তার সাথে লেবুর রস ত্বকের যে কোনো দাগ দূর করতে সক্ষম। এছাড়া লেবুর রসও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারী।
এক্সফলিয়েট করে : শীতকালে কমলালেবু খাবার পর খোসাটা না ফেলে রেখে দিন। ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়ো করে নিন। গোলাপের পাপড়ি বেটে নিন। ২চামচ কমলালেবুর খোসা বাটার সাথে ২চামচ ফুলের পাপড়ি বাটা মেশান। এতে ২চামচ মধু দিন। ভালো করে মেশান।এবার এই মিশ্রণটি মুখে ও গলায় লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরমজলে ধুয়ে নিন। ধোয়ার পর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করলেই যথেষ্ট। এটা ত্বককে খুব সুন্দর এক্সফলিয়েট করে। এটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশি ভালো। তবে যে কোনো ত্বকেই ব্যবহার করা যায়।
ত্বকের যৌবন ধরে রাখে : একটা ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এতে মধু ও গোলাপের পাপড়ির বাটা যোগ করুন। ভালো করে সব উপকরণগুলো মেশান। এবার মিশ্রণটি মুখে,গলায় লাগান। মিশ্রণটি শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুদিন মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। অ্যান্টি এজিং হিসাবে খুব ভালো এই মিশ্রণ। কারণ এতে থাকা গোলাপের পাপড়ি ত্বককে টাইট রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। ডিমের সাদা অংশ ত্বককে করে তোলে স্মুথ ও রিঙ্কেল কমায়। আর মধু স্কিনকে টাইট গ্লোয়িং রাখতে বেশ উপকারী।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে ফেসপ্যাক : ৩ চামচ বেসন ২ চামচ দই নিয়ে বেসন ও দই মিশিয়ে নিন। এবার গোলাপের পাপড়ি দিন। গোলাপের পাপড়ি না পেলে, গোলাপজলও দিতে পারেন। সব উপকরণ ভালো করে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুদিন করুন। সুস্থ ত্বকের প্রথম শর্ত হল উজ্জ্বল ত্বক। আর বেসন ত্বককে সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে। দই ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে। আর উজ্জ্বল তো করেই। মিশ্রণটি ধোয়ার পরই ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল লাগবে।
Reviews
There are no reviews yet.